Dipression

 মানসিক সমস্যা.... বা Dipretion👉👉👉


এই মানসিক সমস্যায় আমিও দীর্ঘ 5-6 বছর ভুগেছি... আসলে কোনো একটা সমস্যা সেটা ছোট হোক বা বড় যে কোন কারণে  হঠাৎ করে আমাদের শোরিরে দেখা দিলে বা আমাদের জীবনে কোনো সমস্যা  ঘটে গেলে আমরা সেটা নিয়ে একটু টেনশন এ পড়ে যাই তবে এই সমস্যা নিয়ে যদি অতিরিক্ত চিন্তা করি বা ভয় পেয়ে যাই সমস্যা টা সেখান থেকেই শুরু হয়.. এই টেনশন বা ভয় বেশিদিন চলতে থাকলেই আমরা মানসিক সমস্যার শিকার হয়ে যাই... যে সমস্যা নিয়ে আমরা টেনসন করি আমাদের শরীর এ তখন ওই সমস্যা টা আরো বেশি করে হয় আর এর সাথে আরো কিছু সমস্যা পর পর বাড়তে থাকে... কারণ আমরা ওই সমস্যা নিয়ে বেশি ভাবার জন্য আমাদের ব্রেন ওই সমস্যা টাকে স্বাভাবিক ব্যাপার বলে মনে করে আর বার বার ওই সমস্যা কে রিপিট করতে থাকে আসলে এই অভ্যাস টা আমরা নিজেরাই সৃষ্টি করি তাই ব্রেন ওটাকে স্বাভাবিক ব্যাপার বলে মনে করে... যেমন কেউ যদি প্রত্যেক দিন রাত 10 টায় একই টাইম এ ঘুমায় তার প্রত্যেক দিন রাত 10 টায় ঘুম আসবে আবার কারো  প্রত্যেক দিন ভোর 4 টায় ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস থাকলে তার ভোর 4 টা তেই ঘুম ভাঙে.. কারো আবার বাসে উঠলে বমি পায়... কিন্তু বাস থেকে নেমে গেলে বা ট্রেন এ করে গেলে তার এতটা সমস্যা হয় না... বাস এ উঠলেই তার মনের মধ্যে একটা অটোমেটিক ভয় বা টেনসন সৃষ্টি হয় যার জন্য সমস্যা হয়.. এই অভ্যাস গুলো আমরাই তৈরি করি আবার আমরাই চাইলে পরিবর্তন করতে পারি... যার যতো বেশি দিনের অভ্যাস তার ক্ষেত্রে টাইম তাও একটু বেশি লাগে এই অভ্যাস পরিবর্তন করতে.. এই মানসিক সমস্যার অনেক লক্ষণ থাকে কারো মাথার যন্ত্রণা কারো পেটের যন্ত্রণা কারো সারা শোরির জ্বলে আবার কারো মাথা ঘোরায় হাত পা অবশ মাথা টল মল করে, ভারসাম্যহীনতা বুক ধড় পড় বা গ্যাস অ্যাসিড এর সমস্যা এই রকম প্রচুর লক্ষণ আছে যেগুলো মানসিক রোগে দেখা যায়.. যদি সব রকম টেস্ট করে কোনো কিছু রোগ সেরকম ধরা না পড়ে তাহলে ভেবে নিতে হবে এটা একটা মানসিক রোগের লক্ষণ.. কোনো না কোনো ভাবে আমরা এই রোগের সাথে জড়িয়ে পড়েছি বা অতিরিক্ত টেনসন বা dipretion থেকে এটা হচ্ছে.. এটার জন্য ভয় না পেয়ে এটা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে.. তার জন্য একজন মানসিক রোগের ডাক্তার বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত কারণ সমস্যা বেশি দিনের হলে এটা থেকে নিজে থেকে বেরোনো টা একটু সমস্যা হবে.. কিন্তু মনের জোর থাকলে এটা থেকে নিজেই বেরোতে পারা যায়.. অনেক ক্ষেত্রে ওষুধ এর দরকার হয়না কিছু ব্যায়াম আছে যেগুলো করে এটা ঠিক হয়ে যায় আবার এটার বেস কয়েকটা এলোপ্যাথি বা হোমিওপ্যাথি ওষুধ ও আছে যেগুলো এই সমস্যা থেকে বেরোনোর জন্য অনেকটা সাহায্য করবে... আমি নিজেও এই সমস্যায় ভুগেছি  প্রথমে বুঝতেই পারতাম না কেনো সমস্যা গুলো হচ্ছে আর ডাক্তারবাবু রাও মানসিক সমস্যার কথা বললে বিশ্বাস করতাম না কিন্তু এখন বুঝতে পারি.. তাই যারা এই সমস্যায় আছেন তাদের অবস্থাও বুঝতে পারছি.. তারা যেনো এটা থেকে তারা তারি বেরোতে পারে সেটার জন্যই লিখলাম..

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি